গাজীপুরের পুবাইলে বিবাহের আড়াই বছর পর লাশ, হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুম্রজাল ।
মো: রফিকুল ইসলাম রফিক, গাজীপুর
গাজীপুরের পুবাইল থানাধীন খোদাব গ্রামে র বাসিন্দা আফজাল খান এর পুত্র ফিরোজ খান এর সহিত শরিয়া মোতাবেক চামুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা পিতা বজলুর রহমান, মাতা- পারভিন বেগম এর মেয়ে মিতু বেগম এর বিবাহ হয়। দম্পতির ঘরে সামিয়া নামে ১৪ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের ৬মাস পর থেকেই পারিবারিক কলহ, মানসিক চাপ, ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল স্থানীয়দের সহযোগীতায় পারিবারিক ভাবে একাধিক বার ঝগড়াঝাটি মিমাংসা করারও নজির রয়েছে। এরই মধ্যে ০৪/০৪/২০২০ রাত ৯ঘটিকায় স্থানীয় সূত্রে মেয়ের বাবা জানতে পায় তার মেয়ে মারা গেছে। এমন খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় প্রশাসন সহ উপস্থিত জনতার ভাষ্য মতে নি:সন্দেহে একটি হত্যাকান্ড বলে দাবি নিহতের পরিবারের। স্বামী পক্ষের দাবি আত্মহত্যা বলে ময়নারতদন্তরশেষে দাফন করা হয়। সু¯’ মানসিকতায় ছোট শিশুকে নিয়ে নিজ ঘরে খাবার দাবার, দরজা খোলা, সিলিং ফ্যান অক্ষত, খাটের উপর লাশ, মুখমন্ডলে শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন দৃশ্যমান, তবুও স্বামী ফিরোজের পরিবারের ভাষ্য আত্মহত্যা। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ, সত্য ঘটনা উম্মোচনের দাবি জানান তারা। নিহতের পরিবারের দাবি নি:সন্দেহে এটি একটি হত্যাকান্ড। যাহার সকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জলজ্বন্ত একটি হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের খুজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার। তারা আরও বলেন- লক ডাউনে বিচার বিভাগ বন্ধ থাকায় মামলা করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে মামলা করে অত্যাচারী খুনিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান মিতু বেগমের পরিবার ।